
*শপথ নেওয়ার আগেই চাঁ’দাবা’জিতে নে’মে পড়েছেন নৌকা প্রতীকে জেতা চেয়ারম্যান**সবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন, এখনো শপথ নেওয়া বাকি। কিন্তু এরই মধ্যেই চেয়ারম্যানের দাপট দেখিয়ে নেমে পড়েছেন চাঁ’দাবা’জিতে। বরিশালের হিজলা উপজেলায় নদীভাঙন রোধে কাজ করা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাঠ পরিদর্শকে চাঁ’দার দা’বিতে তুলে এনে নিজস্ব কার্যালয়ে আ’টকে রেখে মা’রধ’রের অ’ভিযোগও উঠেছে নবনির্বাচিত ওই চেয়ারম্যান এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধ।






স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন কর্মীর হাতে মা’রধ’রের শি’কার হয়ে ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির মাঠ পরিদর্শক আসাদুল ইসলাম মঙ্গলবার রাতে হিজলা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বরিশাল কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস এ তথ্য জানিয়েছেন।






অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের নাম জসিম উদ্দিন। তিনি গত ২৬ ডিসেম্বর হিজলা উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে লড়াই করে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিও। পাউবো বরিশাল কার্যালয় সূত্র জানায়, হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় পাউবোর প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীভাঙন রোধে






জিও ব্যাগ ও ব্লক বাঁধাই এবং ডাম্পিংসহ ১৮টি প্যাকেজের কাজ চলছে। এর মধ্যে হিজলায় প্রায় ৩৫ কোটি টাকার ১৪ ও ১৬ গুচ্ছের কাজ করছে ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। ভুক্তভোগী আসাদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, গত সোমবার রাতে শামীম, আকরাম ও সবুজসহ চারজন আওয়ামী লীগ কর্মী তার কর্মস্থলে গিয়ে দেড় কোটি টাকা চাঁ’দা দা’বি করেন।






না দিলে কাজ বন্ধের হু’মকি দে’ন। তখন আসাদুল কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বললে তারা ক্ষেপে গিয়ে তাকে মা’রধ’র করেন। এরপর তাকে টেনেহিঁচড়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের আলীগঞ্জ বাজারের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখানে তাকে আবার মা’রধ’র করা হয়।






খবর পেয়ে পাউবোর কয়েকজন কর্মকর্তা এবং ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। এ বিষয়ে ধুলখোলা ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি যেমন বলা হচ্ছে, আসলে তেমন নয়। ওই কোম্পানি বিভিন্ন সময় বহিরাগত স’ন্ত্রাসী’দের চাঁ’দা দিয়ে আসছে।






স্থানীয় কয়েকজন যুবক গিয়ে বহিরাগত স’ন্ত্রাসীদে’র টাকা দিতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে কথা কা’টাকা’টি হয়। একপর্যায়ে স্থানীয় এক যুবক আসাদুলকে থা’প্পড় দিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। আমার কার্যালয়ে তুলে এনে আসাদুলকে মা’রধ’রের অভিযোগ সত্য নয়।’






হিজলা থানার ওসি ইউনুস মিয়া বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আগেও একবার চেয়ারম্যান ছিলেন। ওই সময় সরকারি চাল চু’রি ক’রতে গিয়ে প্রশাসনের কাছে হাতেনাতে গ্রে’প্তার হয়ে বেশ কিছুদিন কা’রাভো’গও করেন।